সকল অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর
Paragraphs:
My hobby is photography. I enjoy capturing the beauty of nature and the moments of life with my camera. Photography is a creative and relaxing activity that allows me to express myself and share my vision with others. I like to experiment with different angles, lighting, and filters to create unique and stunning images. I also like to learn from other photographers and improve my skills by reading books, watching tutorials, and joining online communities. Photography is more than just a hobby for me; it is a passion and a way of living.
Discipline is the ability to control one’s actions and follow certain rules or principles. Discipline is important for achieving success and happiness in life. Discipline helps us to focus on our goals, manage our time, overcome distractions, and avoid procrastination. Discipline also helps us to develop good habits, such as exercising, eating healthy, and sleeping well. Discipline is more than just a duty; it is a way of respecting ourselves and others. Discipline is not always easy, but it is always rewarding.
2nd paragraph about Discipline
Discipline is an attribute that involves a definite set of rules, parameters and behavioral patterns. When combined and applied together, these help to maintain the social and personal order of events in life.
Discipline can start developing from a very young age right at home. This in turn spreads and develops to affect different areas of life. Maintaining a proper sleep schedule, a healthy diet, exercise, pursuing a passion or a hobby, practicing a sport regularly all come under personal discipline. Social discipline includes behaving in a particular manner in gatherings, meetings or events. Whereas professional discipline mostly involves time management, meeting deadlines, greeting seniors appropriately, maintaining healthy relations and so on.
Discipline is an inherent part of society and the very beginning of its role starts in our educational institutes. But nowadays people often lose track of time and have to make significant efforts to maintain a disciplined lifestyle. Some ways to maintain discipline in school, workplaces or even at homes include:
- Being aware of the guidelines and rules of an institute
- Being considerate and understanding with co-workers
- Maintaining strictness but being fair
- Setting clear consequences and punishments
- Devising family or personal rules
- Keeping up with a planned schedule
The above measures can be the guiding principles to lead a disciplined life devoid of commotion and regrets. We must always remember that with the right quality of discipline all our ventures are certain to succeed!
My favourite person
My favorite person is my mother. She is the most loving and caring person I know. She always supports me and encourages me to pursue my dreams. She is also very smart and talented. She works as a teacher and helps many students learn and grow. She is also very good at cooking, gardening, and knitting. She makes delicious meals, beautiful flowers, and cozy sweaters for me and my family. She is more than just a mother; she is a friend and a role model.
2nd paragraph about My favorite person
My mother is God’s best gift to me. My mother is a housewife. She is adorable and caring. She takes care of the likes and dislikes of all the family members. She is my home tutor. She helps me in my study in the morning and evening. When I feel depressed she motivates me. She always inspires me to do better in life. She plays with me whenever she gets time. She is a devotee of God.
She is very hard working. She usually gets up at 5 o’clock in the morning. She prepares delicious dishes for us. She struggles a lot to run our house but never loses her patience. I wonder how she manages everything perfectly. She is diligent and devoted in her duties. She is an inspiration to me.
She is my first teacher, guide, friend and above all my world. She helps the needy and poor people. She provides me the valuable lessons of life. She teaches me the values of discipline and punctuality. She has taught me to help others and respect elders.
Everyone in the family loves her so much. If anyone in the family is ill, she forgets her own hunger and thrust. Such care and love no one in the world can give to me. I never want to lose her.
পাতন কাকে বলে?
উত্তরঃ পাতন কাকে বলে এই প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাকে বলতে পারি। পাতন হল একটি রসায়নিক প্রক্রিয়া যেখানে কোনো তরল মিশ্রণ থেকে উপাদান পদার্থগুলোকে বিভিন্ন বাষ্পীভবন ও ঘনীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আলাদা করা হয়। পাতনের মূল ধারণা হল যে বিভিন্ন তরল উপাদানের স্ফুটনাঙ্ক বা বাষ্পীভবনের তাপমাত্রা আলাদা আলাদা হয়। যদি একটি তরল মিশ্রণকে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গরম করা হয়, তবে সেই তাপমাত্রায় স্ফুটনাঙ্কের চেয়ে কম স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট উপাদানগুলি বাষ্পীভূত হয়ে উঠবে। এই বাষ্পগুলি একটি শীতল পাত্রের মাধ্যমে পারিত হয়ে আবার ঘনীভূত হয়ে পড়বে। এভাবে মিশ্রণের বিভিন্ন উপাদানগুলি আলাদা করা যায়।
পাতনের ইতিহাস খুবই পুরাতন। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার ব্যাবিলনীয়দের পাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। [২] পাতনের প্রক্রিয়া ব্যবহার করে সুগন্ধি, অ্যালকোহল, তেল এবং অন্যান্য উপকরণ উৎপাদন করা হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণির আমার বাড়ি কবিতায় কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ আমার বাড়ি কবিতায় কবি তাঁর বাড়ির প্রতি ভালোবাসা, অতিথি সত্কার ও প্রকৃতির সৌন্দর্য বোঝাতে চেয়েছেন। কবি তাঁর প্রিয়জনকে নিজের গ্রামের বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং তাকে বাড়ির সব সুবিধা ও সুখ দেখাতে চেয়েছেন। কবি তাঁর বাড়ির চারপাশে সবুজ গাছপালা, ফুল ফোটা, শালিধানের চিড়ে, বিন্নি ধানের খই, গামছা বাধা দই এবং বাড়ির গাছের কবরি কলা নিয়ে বর্ণনা করেছেন। কবি তাঁর বাড়ির পথ ও চিহ্ন বলে দিয়েছেন যাতে প্রিয়জন তাঁর বাড়ি সহজে পেয়ে যায়। কবি বাড়িকে একটি আশ্রয়স্থল হিসেবে চিন্তা করেছেন যেখানে মানুষ সবকিছু ভুলে গিয়ে শান্তিতে থাকতে পারে। কবিতাটি আমাদের বাড়ির গুরুত্ব ও সৌজন্য সম্পর্কে শিক্ষা দেয়।
ভিডিওঃ
খাদ্য
কাকে
বলে?
উত্তরঃ
১। খাদ্য হলো যে সব আহার্য সামগ্রী গ্রহণ করলে জীবদেহের শক্তি উৎপাদন, ক্ষয়পূরন হয়, দেহ গঠনে এবং জীবনকে বজায় রাখে।
২। খাদ্য হলো, পুষ্টিগুণযুক্ত কোনও পদার্থ যা মানুষ বা প্রাণীরা খায় বা পান করে বা গাছপালা জীবন ও বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য শোষণ করে। খাদ্যের মূল উপাদান হলো শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং পানি।
কবি জসীম উদ্দিনের জীবনীঃ
কবি জসীম উদ্দীনের পুর্ঙ্গ জীবনী নিয়ে আপনি যদি জানতে চান, তাহলে আমি আপনাকে কিছু তথ্য দিতে পারি। জসীম উদ্দীন ছিলেন একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক। তিনি ‘পল্লীকবি’ উপাধিতে পরিচিত, কারণ তার কবিতাগুলি বাংলার পল্লীপ্রকৃতি ও গ্রামবাসীদের জীবনধারা বর্ণনা করে। তিনি বাংলার লোকসঙ্গীতের একজন বিশেষজ্ঞ ও সংগ্রাহক ছিলেন। তার কবিতাগুলি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
জসীম উদ্দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা এবং মায়ের নাম আমিনা খাতুন। তার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। জসীম উদ্দীন ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন। তারপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি.এ. এবং এম.এ. করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ১৯৩৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
২।
·
জসীম উদ্দীন ছিলেন একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক। তিনি ‘পল্লীকবি’ উপাধিতে পরিচিত, কারণ তার কবিতাগুলি বাংলার পল্লীপ্রকৃতি ও গ্রামবাসীদের জীবনধারা বর্ণনা করে। তিনি বাংলার লোকসঙ্গীতের একজন বিশেষজ্ঞ ও সংগ্রাহক ছিলেন। তার কবিতাগুলি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।123
·
জসীম উদ্দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা এবং মায়ের নাম আমিনা খাতুন। তার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। জসীম উদ্দীন ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন। তারপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি.এ. এবং এম.এ. করেন।124
·
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করার পর, তিনি ১৯৩৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৪৪ সালে তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক সরকার এবং পরে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৬২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।123
·
জসীম উদ্দীন ছিলেন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী এবং সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার একজন দৃঢ় সমর্থক। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।12
চিচিং ফাঁক
গ্রন্থ্য টি কোন কবির লেখা?
চিচিং ফাঁক হল একটি জাদুকরী শব্দ যা আলী বাবার গল্পে ব্যবহৃত হয়েছে। এই শব্দটি ব্যবহার করে একটি গুহার মুখ খুলে যেখানে চল্লিশ জন চোর তাদের ধন লুকিয়ে রাখে। এই গল্পটি আলী বাবার আরবি গল্পগুলি থেকে অনুবাদ করেছেন ফ্রেঞ্চ প্রবন্ধকার আন্তোয়ান গ্যাল্যান্ড। 12
মাটি ও পানি দূষণ বলতে কি
বুঝ ও তার প্রতিকার বর্ণনা কর?
উত্তরঃ মাটি ও পানি দূষণ বলতে বুঝায় মাটি বা পানির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণাবলীর এমন পরিবর্তন যা মানুষ ও অন্যান্য জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়। মাটি ও পানি দূষণের কারণ হতে পারে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য, রাসায়নিক পদার্থ, কৃত্রিম সার, কীটনাশক, তেল, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, অস্ত্রাগার, শিল্প ও খনি কারখানা, আবর্জনাভূমি, অবৈধ আঁস্তাকুড়, অ্যাসিড বৃষ্টি, বন্যা ইত্যাদি।
মাটি ও পানি দূষণের প্রভাব হতে পারে বিভিন্ন ধরনের। মাটি দূষণের ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়, উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও ফলন ব্যাহত হয়, জীববৈচিত্র্য হ্রাস পায়, ভূমির স্থিতিস্থাপন বিঘ্নিত হয়, জলস্তর কমে যায়, জলবায়ু পরিবর্তন হয়, মানুষ ও প্রাণীর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় ইত্যাদি। পানি দূষণের ফলে পানির জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়, পানির উপযোগিতা কমে যায়, পানির স্বাদ ও গন্ধ বিকৃত হয়, পানির রং পরিবর্তন হয়, পানির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ে, পানির পরিবেশের সৌন্দর্য হ্রাস পায়, পানির জীবজন্তুর মৃত্যু হয় ইত্যাদি।
মাটি ও পানি দূষণের প্রতিকারের উপায় হতে পারে বিভিন্ন ধরনের। মাটি দূষণের প্রতিকারের জন্য বর্জ্য ও আবর্জনারাশির পুনর্ব্যবহার, রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার কমানো, কৃত্রিম সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, তেল ও তেজস্ক্রিয় পদার্থের নিরাপত্তাবিধি মেনে চলা, অস্ত্রাগার, শিল্প ও খনি কারখানার আবর্জনারাশি শুদ্ধ করে বা নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা, অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ হওয়া বায়ু দূষণ কমানো, বন রক্ষা ও বৃক্ষরোপণ করা, অবৈধ আঁস্তাকুড় বন্ধ করা ইত্যাদি। পানি দূষণের প্রতিকারের জন্য বর্জ্য ও আবর্জনারাশির পুনর্ব্যবহার, রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার কমানো, পানির উৎস ও প্রবাহের সংরক্ষণ, পানির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য পানি শুদ্ধ করা, পানির পরিবেশের সৌন্দর্য রক্ষা করা, পানির জীবজন্তুর রক্ষা করা ইত্যাদি।
মাটি ও পানি দূষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ সমস্যা। এর প্রতিকারের জন্য সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা যদি মাটি ও পানি দূষণ কমাতে পারি তবে আমরা পরিবেশ ও প্রাণীর স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারব।
ঘর্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা ব্যাখ্যা কর?
উত্তরঃ ঘর্ষণ হল একটি বাঁধাকে যা দুটি বস্তুর স্পর্শতলের মধ্যে গতির বিরুদ্ধে কাজ করে। ঘর্ষণ আমাদের জীবনে অনেক সুবিধা ও অসুবিধা সৃষ্টি করে। ঘর্ষণের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা নিচে দেওয়া হলো:
ঘর্ষণের সুবিধা:
- ঘর্ষণ থাকার কারণে আমরা হাঁটতে, ধাবতে, লেখতে, কোন কিছু ধরতে পারি।
- ঘর্ষণ থাকার কারণে আমরা গাড়ি, সাইকেল, রিকশা ইত্যাদি চালাতে পারি। ঘর্ষণ ব্রেক কাজ করাতে সাহায্য করে।
- ঘর্ষণ থাকার কারণে আমরা কাঠের উপর পেরেক, স্ক্রু, নেইল ইত্যাদি আটকাতে পারি।
- ঘর্ষণ থাকার কারণে আমরা কাঠের উপর মই লাগাতে পারি। মই লাগানোর ফলে আমরা দেয়ালে চিত্র, ঘড়ি, শেলফ ইত্যাদি আটকাতে পারি।
- ঘর্ষণ থাকার কারণে আমরা কাঠের উপর দিয়াশলাইয়ের কাঠি ঘেঁষে জ্বালাতে পারি।
ঘর্ষণের অসুবিধা:
- ঘর্ষণ গতির বিরুদ্ধে কাজ করে বলে ঘর্ষণকে অতিক্রম করে গতি সৃষ্টি করতে হলে শক্তি ব্যয় করতে হয়। ফলে আমাদের কষ্ট হয়।
- ঘর্ষণের ফলে যে শক্তি ব্যয় করতে হয়, তা তাপে রূপান্তরিত
হয়। এতে শক্তির অপচয় হয়, গতি কমে যায়।
- ঘর্ষণের ফলে মেশিনের যন্ত্রাংশ,
আমাদের জুতার তলা, কাপড়ের গুঁড়ি ইত্যাদি ক্ষয় হয়, অনেক সময় যন্ত্রাংশে
আগুন ধরে যায়।
অনুজীব কি?
উত্তরঃ অনুজীব হল এমন এককোষী বা অকোষী জীব, যাদের খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে দেখা যায়। অনুজীবের মধ্যে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, আর্কিয়া, প্রোটিস্ট, প্রোটোজোয়া, ছত্রাক ইত্যাদি রয়েছে। অনুজীব পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের বৃহৎ অংশ গঠন করে এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য, খাদ্য, কৃষি, জৈবপ্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দুটোই অণুজীব বলে মনে করা হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। কিছু পার্থক্য হলো:
- ব্যাকটেরিয়া হল এককোষী জীব, যাদের কোষে সাইটোপ্লাজম, কোষপ্রাচীর এবং আদি নিউক্লিয়াস
রয়েছে। তারা প্রোক্যারিওটিক কোষ বলে পরিচিত। ভাইরাস হল অকোষী জীব, যাদের কোষে কোনো ক্ষুদ্রাঙ্গ
নেই। তাদের কেবল একটি প্রোটিন শেল এবং একটি নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ বা আরএনএ) রয়েছে।
- ব্যাকটেরিয়া স্বাধীনভাবে
বংশবৃদ্ধি করতে পারে এবং বিভিন্ন পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে। ভাইরাস স্বাধীনভাবে বংশবৃদ্ধি
করতে পারে না, তাদের একটি জীবন্ত হোস্ট কোষের প্রয়োজন। ভাইরাস হোস্ট কোষের জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করে নিজের অনুরূপ ভাইরাস তৈরি করে এবং কোষটিকে ধ্বংস করে।
- ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা নির্মূল করা যায়, কিন্তু ভাইরাস অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি সংবেদনশীল নয়। ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগস ব্যবহার করা হয়, যা ভাইরাসের প্রজনন হ্রাস করতে পারে।
- ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দুটোই বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে, যেমন ব্যাকটেরিয়া ক্ষয়ক্ষতি,
খাদ্য বিষাক্ততা,
মেনিনজাইটিস, অ্যানথ্রাক্স ইত্যাদি এবং ভাইরাস চিকেনপক্স, পোলিও, ফ্লু, ক্ষেপণাস্ত্র, রেবি ইত্যাদি।
মানুষের এমন পাঁচটি কর্মকাণ্ড উল্লেখ কর যা গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধিতে
ভূমিকা রাখে?
উত্তরঃ গ্রিনহাউজ
গ্যাস হল এমন গ্যাস যা বায়ুমণ্ডলে থাকে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। গ্রিনহাউজ গ্যাসের কিছু উদাহরণ হল জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড ও ওজোন। মানুষের কিছু কর্মকাণ্ড যা গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ হয় তার মধ্যে নিম্নলিখিত পাঁচটি উল্লেখযোগ্য:
- জীবাশ্ম
জ্বালানি: কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি গ্রিনহাউজ গ্যাস বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়। 12
- বন
ঊজার: বন ঊজার হল বনাঞ্চলের ক্ষয় বা ধ্বংস যা মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে ঘটে। বন ঊজারের কারণে বনের উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনযাপন বিঘ্নিত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বাড়ে। 13
- ভূমি
ব্যবহারে পরিবর্তন: ভূমি ব্যবহারে পরিবর্তন হল ভূমির উপযোগের ধরন বা কার্যকালাপের পরিবর্তন যা মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে ঘটে। ভূমি ব্যবহারে পরিবর্তনের কারণে ভূমির জলসংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বাড়ে। 1
- কৃষি:
কৃষি হল ফসল, পশু, মাছ ইত্যাদি চাষ বা পালন করার ক্ষেত্রে মানুষের কর্মকাণ্ড। কৃষির কারণে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বাড়ে যেমন কৃষি জমিতে নাইট্রাস অক্সাইড ও মিথেন গ্যাস উৎপাদন হয়, পশুর পায়খানা থেকে মিথেন গ্যাস নির্গত হয়, কৃষি জমি জ্বালানোর কারণে কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেন গ্যাস নির্গত হয়। 1
- জলবায়ু
পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তন হল জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য যেমন তাপমাত্রা, বর্ষা, বাতাস, আর্দ্রতা ইত্যাদির দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বাড়ে যেমন উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ে, বরফ ও হিম গলের কারণে কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেন গ্যাস নির্গত হয়। 1
এই কর্মকাণ্ডগুলি কমানোর জন্য আমরা শক্তির উৎস হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে পরিষ্কার শক্তি যেমন সৌর শক্তি,
পৃথিবীতে যদি ঘর্ষণ বল না থাকতো তাহলে মানুষের দৈনন্দিন জীবন কেমন হতো?
উত্তরঃ ঘর্ষণ বল না থাকলে মানুষের দৈনন্দিন জীবন অনেক কঠিন ও অস্বাভাবিক হতো। ঘর্ষণ বল না থাকলে আমরা হাঁটতে, ধাবতে, লেখতে, কোন কিছু ধরতে পারতাম না। আমাদের শরীর ও বস্তুর মধ্যে কোনো আধার থাকতো না। আমরা গাড়ি, সাইকেল, রিকশা ইত্যাদি চালাতে পারতাম না। ব্রেক কাজ করতো না। আমরা কাঠের উপর পেরেক, স্ক্রু, নেইল ইত্যাদি আটকাতে পারতাম না। আমরা কাঠের উপর মই লাগাতে পারতাম না। আমরা কাঠের উপর দিয়াশলাইয়ের কাঠি ঘেঁষে জ্বালাতে পারতাম না। আমরা কোনো কাপড় পরতে পারতাম না। আমাদের জুতার তলা, কাপড়ের গুঁড়ি ইত্যাদি ক্ষয় হতো না। আমরা কোনো মেশিন ব্যবহার করতে পারতাম না। আমাদের শক্তির অপচয় হতো না। আমাদের জীবন অনেক সহজ হতো না।
ঘর্ষণ বল না থাকলে আমাদের জীবন এমন হতো যেন আমরা একটি সামলানো তরলের মধ্যে থাকি। আমরা কোনো নির্দিষ্ট দিকে গতি সৃষ্টি করতে পারতাম না। আমরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে থামতে পারতাম না। আমরা কোনো বস্তুর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারতাম না। আমরা কোনো কাজ করতে পারতাম না। আমরা কোনো রোগের চিকিৎসা করতে পারতাম না। আমরা কোনো শিক্ষা অর্জন করতে পারতাম না। আমরা কোনো সংস্কৃতি বিকাশ করতে পারতাম না। আমরা কোনো সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারতাম না।
ঘর্ষণ বল না থাকলে আমাদের জীবন এমন হতো যেন আমরা একটি স্বপ্নের মধ্যে থাকি। আমরা কোনো বাস্তবতা অনুভব করতে পারতাম না। আমরা কোনো সমস্যা সমাধান করতে পারতাম না। আমরা কোনো উন্নতি করতে পারতাম না। আমরা কোনো সুখ বা দুঃখ অনুভব করতে পারতাম না।
ঘর্ষণ বল না থাকলে আমাদের জীবন এমন হতো যেন আমরা একটি মৃত্যুর মধ্যে থাকি। আমরা কোনো জীবন বাঁচাতে পারতাম না। আমরা কোনো জীবন দান করতে পারতাম না। আমরা কোনো জীবন উপভোগ করতে পারতাম না।
তাই আমরা ঘর্ষণ বলের মূল্যায়ন করতে পারি যে এটি আমাদের জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি আমাদের জীবনকে সম্ভব করে, সহজ করে, সুন্দর করে এবং সৃজনশীল করে। এটি আমাদের জীবনকে বাস্তব, সমস্যামুক্ত, উন্নত এবং সুখময় করে। এটি আমাদের জীবনকে জীবন্ত,
পূর্ণিমা কি? বার্সিক গতির কারণ কি? পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন হয় কেন? যুক্তিসহ উপস্থাপন কর।
উত্তরঃ পূর্ণিমা
হলো চাঁদের একটি কলা, যখন চাঁদ সূর্য ও পৃথিবীর সাথে
একই সরলরেখায় অবস্থান করে এবং পৃথিবী থেকে দেখা যায় যে চাঁদ সূর্য
দ্বারা পূর্ণভাবে আলোকিত হয়েছে। পূর্ণিমা প্রতি মাসে একবার ঘটে এবং বিভিন্ন ঋতু ও উৎসবের সাথে
সম্পর্কিত হয়। 1
বার্ষিক গতি হলো পৃথিবীর সূর্যের চারপাশে ঘোরার গতি, যা প্রায় ৩৬৫ দিন সময় নেয়। এই গতির কারণ হলো পৃথিবীর অক্ষ যেহেতু সূর্যের সাথে সমকোণে নয়, তাই পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে সূর্যের রশ্মির কোণ ও দৈর্ঘ্য পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ও আলোকবিদ্যুৎ বিভিন্ন হয়। এই বৈচিত্র্য হলো ঋতু পরিবর্তনের মূল কারণ। [2][2]
পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন হয় কারণ পৃথিবীর অক্ষ সূর্যের সাথে সমকোণে নয়, বরং একটু হেলে থাকে। এই হেলানো অবস্থার
কারণে পৃথিবীর বার্ষিক গতির সময় পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধ
যথাক্রমে সূর্যের দিকে বা সূর্যের বিপরীত
দিকে ঝুঁকে থাকে। এই ঝুঁকানোর কারণে
সূর্যের রশ্মি পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন কোণে এবং বিভিন্ন দৈর্ঘ্যে পড়ে। এই পড়ার ফলে
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ও আলোকবিদ্যুৎ বিভিন্ন
হয়। এই বৈচিত্র্য হলো
ঋতু পরিবর্তনের মূল কারণ। 3
বিলুপ্তির হাত থেকে প্রাণিদের বাঁচাতে আমাদের কি করা উচিত?
উত্তরঃ বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের কি করা উচিত? এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সমসাময়িক প্রশ্ন। বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে। কিছু উপায় হলো:
·
প্রাণীদের প্রাকৃতিক বাসস্থান ও খাদ্যসম্পদ রক্ষা করা। অন্যান্য প্রাণীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা। প্রাণীদের স্বাভাবিক জীবনধারা ও বৈচিত্র্য সম্মান করা।
·
প্রাণীদের শিকার করা, অত্যাচার করা, অপহরণ করা বা অস্বাভাবিক ভাবে পালন করা থেকে বিরত থাকা। প্রাণীদের স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থা নিরীক্ষণ করা। প্রাণীদের রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা করা।
·
প্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য আইন ও নীতি মেনে চলা। প্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য সরকার, বিশ্বসংঘ, সংগঠন ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য গব